ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রীকে ইফতেখারুজ্জামান

এড়িয়ে যাওয়া সমাধান নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
এড়িয়ে যাওয়া সমাধান নয় ছবি: জি এম মুজিবর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সংসদে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, ‘গত পাঁচ বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি’। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, উট পাখির মতো এড়িয়ে যাওয়া সমাধান নয়।


 
বুধবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস: প্রক্রিয়া, কারণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান।
 
তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনটি নিয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছি। এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বা বিভাগে আমরা আমাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। তারা মতামত দিয়েছেন। কিন্তু এবার সেটি হয়নি।
 
গত ৪ বছরের গবেষণায় অর্ন্তভুক্ত বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ৬৩টি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নিজের তদন্তেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী সংসদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করার বিষয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। দায় এড়িয়ে সমাধান হবে না।
 
গবেষণা প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণ হিসেবে বলা হয়, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে প্রণীত নীতিমালায় (২০১২) অস্পষ্টতা থাকার সুযোগ গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্টরা। ‘তথাকথিত সাফল্যের ধারা’ অব্যাহত রাখা ও প্রশ্নপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে।
 
শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ৩২ হাজার কোটি টাকার কোচিং বাণিজ্য হয়’।
 
কারণ হিসেবে আরো উল্লেখ করা হয়, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টিকে অস্বীকার করার প্রবণতা, বিষয়টি ‘সাজেশন কমন পড়া’, ‘গুজব’ বলে অস্বীকার করা, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
 
এছাড়াও রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর তদারকি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ঘাটতি অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ই-মেইল, ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়ানোর ওপর সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ঘাটতি।
 
পর্যাপ্ত তদারকি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া অর্থাৎ বিজিপ্রেসে জনবলের ঘাটতি নিয়েই নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে আরো দু’টি পাবলিক পরীক্ষা জেএসসি ও পিইসিই’র প্রশ্নপত্র ছাপানোর দ্বায়িত্ব দেওয়াও এর কারণ বলে উল্লেখ করে টিআইবি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘন্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫
এমএন/এএসআর

** প্রশ্নফাঁস নিয়ে টিআইবি প্রতিবেদন: ৬ মাধ্যমে ছড়ায় প্রশ্ন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।