ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে পেটালো ঠিকাদারের ক্যাডাররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে পেটালো ঠিকাদারের ক্যাডাররা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক ড. সুব্রত কুমার দে’কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক ঠিকাদারের ক্যাডাররা।

বুধবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের অলকা নদী বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে তার ওপর এ হামলা চালানো হয়।

গুরুতর আহত সুব্রত কুমারকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক এসএম হাফিজুর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

অলকা নদী বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাংলানিউজকে জানান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক সুব্রত কুমারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি ভরাটের কাজ বাবদ অতিরিক্ত বিল দাবি করেন অভিযুক্ত ঠিকাদার। এ নিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুব্রত কুমার দে’র সঙ্গে ওই ঠিকাদারের কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার জের ধরেই বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঠিকাদারের ১০-১২ জন ক্যাডার সুব্রত কুমার দে‘র উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মারাত্মক আহত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকার হায়দার কনস্ট্রাকশন মাটি ভরাটের কাজ করে। গত বৃহস্পতিবার এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তারেক পারফরম্যান্স সিকিউরিটি বাবদ তার জমা দেওয়া ১৬ লাখ টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করেন।

হাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার ক্যাম্পাসে এসে এ বিষয়ে ড. সুব্রত কুমার দে‘র সঙ্গে কথা বলেন তারেক। এ সময় নাকি সুব্রত কুমার দে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মূলত এ ঘটনার জের ধরেই তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হামলার শিকার শিক্ষক ড. সুব্রত কুমার দে‘কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

এ ব্যাপারে হায়দার কনস্ট্রাকশনের তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, পারফরম্যান্স সিকিউরিটি বাবদ জমা দেওয়া ১৬ লাখ টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করলেও ড. সুব্রত কুমার দে দিচ্ছি-দেবো করে প্রায় দেড় মাস গড়িমসি করছিলেন। ক’দিন আগে আমার এক লোক তার কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি দরজা বন্ধ করে আটকে রাখেন।

তারেক বলেন, বুধবার দুপুরে সুব্রত আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সন্ধ্যায় শহরের অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের সামনে তার সঙ্গে দেখা হলে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে আমার সঙ্গে থাকা ছেলেদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। এতে তিনি সামান্য আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫/আপডেট ২১২২ ঘণ্টা
এএমকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।