ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবিপ্রবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মিছিল-সমাবেশ

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
শাবিপ্রবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মিছিল-সমাবেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি কালোব্যাজ ধারণ, প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

অপরদিকে, শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে মানববন্ধন, মৌনমিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেছেন।



এছাড়া এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি করেছে শাবিপ্রবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারী ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’-এর শিক্ষকেরা। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।

কর্মবিরতির পাশাপশি সকাল থেকে শিক্ষকরা ক্যালোব্যাজ ধারণ করেন। এ ছাড়া হামলার প্রতিবাদে সকাল ১১টায় শিক্ষক ক্যান্টিন থেকে মৌন মিছিল বের করেন শিক্ষকরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সেখানে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ইয়াসমীন হক, অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী, ড. শরীফ মোহাম্মদ শরাফউদ্দিন, ড. তুলসী কুমার দাস, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম দিপু, মো. ফারুক উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল শোয়েব, এমদাদুল হক, মোস্তফা কামাল মাসুদ, আল আমিন রাব্বী, সৌরভ রায় প্রমুখ।

সমাবেশে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আজকে প্রথম আমি এখানে এসে কথা বলছি।

তিনি এক শিক্ষার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আমিই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যাকে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, হেফাজত, বামপন্থীরাও দেখতে পারেনা। আর এখন আওয়ামী লীগও দেখতে পারে না।

তিনি বলেন, আমি যেখানে থাকবো, সেখানেই ঝামেলা হবে। তাই, আমি আন্দোলনে শারীরিকভাবে ছিলাম না; মানসিকভাবে ছিলাম।
আমার জীবনে আমি অনেক কিছু দেখেছি। কিন্তু কালকের (রোববার, ৩০ আগস্ট) ঘটনার মতো কোনো ঘটনা হয়ত আর কোনোদিন দেখবো বলে মনে হয় না।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে জাফর ইকবাল বলেন, আমি বসে বসে দেখেছি। কিন্তু খারাপ লেগেছে যে, আমি যাইনি।

অধ্যাপক ইয়াসমীন হককে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, শত শত মানুষ ছিলেন। মহিলা পুলিশ ইয়াসমীনকে ঘিরে রেখেছিল। আমার শিক্ষকরা তাকে বাঁচাতে গেছেন। কিন্তু তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। শরীরের ব্যথা ভোলা যায়। কিন্তু মনের ব্যথা ভোলা যায় না। ছাত্ররা আঘাত করবে আর অন্যরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে, তা হবে না। আর এ সবের আয়োজন করেছেন এই উপাচার্য। কিন্তু সেটাও আমাকে বসে বসে দেখতে হলো!

এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র ড. সামসুল আলম উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ফের ব্যক্ত করেন।

এদিকে, হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন, মৌনমিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ভিজেই দু’শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধন ও মৌন মিছিলে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
সাইফ সায়েম/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।