ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলবে’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দিয়ে সোমবার অষ্টম পে স্কেল মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।



বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের মঙ্গলবারের কর্মসূচি চলবে।

অধ্যাপক ফরিদ বলেন, অষ্টম পে স্কেল মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরও আমাদের দাবির ব্যাপারটি সরকার পর্যালোচনা করবে বলে শুনেছি। যদি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে তবে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো।

কিন্তু নেতিবাচক সিদ্ধান্ত আসলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হব। কারণ এটা গোটা শিক্ষক সমাজের মর্যাদার প্রশ্ন। তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় নাই।

গত শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কমিশনে শিক্ষকদের গ্রেড পুনর্নির্ধারণের দাবিতে মঙ্গলবার পূর্ণ কর্ম বিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে এ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে অবনমন করে শিক্ষকদের মর্যাদাহানির বিষয় সরকারকে অবগত করতে আমরা গত ১৪ মে থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। এর মধ্যে ছিলো মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি।

কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না। তাই এবার আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছি।

একই সঙ্গে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে শিক্ষক সমিতি প্রতিনিধিরা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান প্রধান পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে ফেডারেশন মতবিনিময় সভা করবে বলেও জানান অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।

অধ্যাপক ফরিদ আরও বলেন, একদিকে সরকার শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি মানছে না, অন্যদিকে তাদেরকে আরও কয়েকধাপ নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তো বেতন বাড়ানো বা টাকা-পয়সার কথা বলছি না; আমরা বলছি আমাদের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু আমাদের দিন।

দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “যে সময়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, সে সময় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানির অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

সপ্তম বেতন কাঠামোয় সচিব, সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ও মেজর জেনারেলদের এক নম্বর গ্রেডে রাখা হলেও নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ও অধ্যাপকদের বেতন তিন থেকে চার ধাপ নিচে নেমে গেছে।

নতুন কাঠামোতে এই ‘অবনমনের’ প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে গত ১৪ মে থেকে  আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।