ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবিতে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
ইবিতে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কোষাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।  
 
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।


 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের বিরুদ্ধে কোষাধ্যক্ষ ড. আফজাল হোসেন মন্তব্য করেন। এছাড়া, কোষ্যাধ্যক্ষ উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসি একটি তদন্ত কমিটি করে। এ বিষয়ে আগামী ৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা রয়েছে ইউজিসির তদন্ত দলের।
 
এসব ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হন ইবির আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষদের একটি অংশ। দুপুর দেড়টার দিকে তারা কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ইউজিসিতে অভিযোগের কারণ জানতে চান।
 
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শাহিনুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হান্নান এবং কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সহকারী আলমগীর হোসেন শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
 
এতে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।  
 
ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. রুহুল কুদ্দুস সালেহ প্রমুখ।
 
হাতাহাতির একপর্যায়ে কোষাধ্যক্ষকে তার কার্যালয় থেকে বের করে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। এ সময় খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও উপ-উপাচার্যের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।  
 
এরপর উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। এ সময় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এছাড়া, শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সহকারীকে অপসারণের দাবি করেন তারা।
 
বিষয়টি সমাধানের জন্য বিকেল ৩টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ সহ সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সহকারীদের স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।  
 
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। আমরা বসে এর সমাধান করেছি। এছাড়া এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করবে।
  
জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ আফজাল হোসেন বলেন, আমি ইউজিসির কাছে উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষকদের কাছে কেন জবাবদিহি করবো। আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫   
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।