ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি ১ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি ১ নভেম্বর

ঢাকা: সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুর্নবহাল এবং পদমর্যদা অবনমনের প্রতিবাদে আগামী ১ নভেম্বর শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। ১৮ অক্টোবর এ কর্মসূচি থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।



স্বতন্ত্র বেতন কমিশন গঠন এবং পদমর্যাদা অবনমনের প্রতিবাদে একই দিন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচি রয়েছে।

সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বুধবার (০৭ অক্টোবর) রাতে কর্মসূচি পুর্ননির্ধারণের ঘোষণা দেয়। এর আগে বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষক নেতারা।
 
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন বেগম, মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, সাবেক মহাসচিব মাসুমে রব্বানী খান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব সাহেদুল খবীর চৌধুরীসহ নেতারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

শিক্ষক নেতারা বলেন, আলাদা বেতন স্কেল নয়, বর্তমান বেতন কাঠামোতেই সব স্তরে বেতন বৈষম্য নিরসন সম্ভব। বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ ছাড়া আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনো পথ নেই।

শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় সম্ভব সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটির কাছে শিক্ষকদের সমস্যা তুলে ধরা হবে।

শিক্ষকদের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর সারাদেশে সরকারি কলেজ, বাণিজ্যিক কলেজ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় পূর্ণদিবস ক্লাস বর্জনের পরিবর্তে ১৯ ও ২০ অক্টোবর কর্মবিরতি। এ সময়ে দাবি পূরণ না হলে ১ নভেম্বর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকার ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিকে বিবেচনায় না এনে অধ্যাপক পদের বেতন স্কেল ও গ্রেড অবনমন করা হয়েছে।

সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপকসহ র্শিক্ষা ক্যাডারের সব স্তরের বেতন বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ হাজার সদস্য এটি উপভোগ করতে পারছে না।

সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ চতুর্থ গ্রেড থেকে অবসরে যাবেন। সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল না থাকায় এখন সহযোগী অধ্যাপকদের পঞ্চম গ্রেড থেকে অবসরে যেতে হবে। প্রাপ্য মর্যাদায় উন্নীত না করে স্কেল ও পদ অবনমনে শিক্ষকরা মর্মাহত।

এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের ২৪তম বিসিএসের এক হাজার ৯৬০ জন সহকারী অধ্যাপক এবারই ১ জুলাই পঞ্চম গ্রেডে সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্য ছিলেন। একদিনের জন্য তারা পঞ্চম গ্রেড প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এদিন বিভিন্ন সরকারি কলেজ মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।