ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবির প্রতিষ্ঠার দশক উদযাপন

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘অগ্রযাত্রার এক দশক’ ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এরমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পদার্পণ করছে একাদশ বর্ষে।



মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী-শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত।

তারপর উপাচার্য আকাশে রঙিন বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ালে সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাস-উৎসবে মেতে ওঠে বর্ণিল সাজের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। হাজারো শিক্ষক-শিক্ষাথী-কর্মকর্তা-কর্মচারী-শুভানুধ্যায়ীর অংশগ্রহণে ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বাহাদুর শাহ পার্ক, আদালত পাড়া, রায় সাহেব বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ভুভুজেলা ও ঢাকঢোলের তাল ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকাকে উৎসবমুখর করে তোলে।

শোভাযাত্রার পর বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ড. ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে আরও অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, জবির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান, তৃতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। কেরানীগঞ্জে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য একটি বিশতলা হল এবং একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৩০ কোটি টাকার ওই প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চূড়ান্ত বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিশ্বমানের শিক্ষা, বিশ্বমানের জ্ঞান, বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে একজন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ক্লাসে বসে লেকচার শুনে পরীক্ষায় পাশ করলে জ্ঞান অর্জিত হবে না। জ্ঞান আবিষ্কার করতে হবে। ’

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ভর করে গবেষণার মান এবং শিক্ষার্থীরা পাশ করে কোথায় যায় তার ওপর। ’

এসময় জবি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। উপাচার্য বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একশ’ গবেষক পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শতাধিক তরুণ শিক্ষক দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছেন। ’

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে বিজ্ঞান ভবন চত্বরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খান সংগীত পরিবেশন করে ক্যাম্পাসকে মাতিয়ে তোলেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক বিভাগের শিক্ষার্থী, জবি সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জবি সংসদ ও জবি আবৃত্তি সংসদের সদস্য ও শিল্পীরাও।

ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর যাত্রা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়রূপে। সেদিন থেকেই ২০ অক্টোবরকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।