ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

আইনের আওতায় আসছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
আইনের আওতায় আসছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে সুযোগ-সুবিধা ঘোষণার পর আইনের আওতায় আসছে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব। স্বচ্ছতা আনতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয় আইনের মধ্যে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।


 
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপ অনুষ্ঠানে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
 
অষ্টম পে-স্কেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণার পর একথা জানান নাহিদ।
 
২০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানায়,  গত ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান-সহায়তা নতুন বেতন স্কেলে কার্যকর হবে।
 
বর্তমানে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই।
 
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য নিয়ে সব হিসাবের মধ্যে আনছি, যাতে ব্যয় ঠিকমতো হয়। এমপিও’র টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগালে সাশ্রয় হবে। স্বচ্ছতা আনতেই আইনের বিধি-বিধানে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তা করা হবে।
 
‘আয়-ব্যয়ের যে অর্থ আইন অনুযায়ী জমা হবে, স্বচ্ছতার জন্য নিয়ে আসা উচিত। চোখের সামনে হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝছে, টাকাটা শিক্ষার কাজে লাগানো হবে। ’
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফরাসউদ্দিন কমিশনের রিপোর্ট থেকে সরে আসার কারণ নেই। ডিআই (পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর) এ মাত্র ৩৪ জন লোক আছেন। তারা পারবেন না। বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তথ্যগুলো আনছি।
 
পূর্বের ন্যায় যাচাই-বাছাই করেই এমপিও দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টিকে উন্নত করার জন্য অনলাইনে যাচ্ছি।
 
নতুন বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড-১ এ যাওয়ার পথ বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, টাইম স্কেলের মাধ্যমে তারা উচ্চস্তরে পৌঁছাতে পারতেন। কিভাবে তাদের সুযোগটা দেওয়া যায় তা আলোচনা চলছে, যতোদিন না হয় আগের মতো সুবিধা পাবেন।
 
বিসিএস শিক্ষকদের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তারাও সুবিধা পাবেন।
 
এনরোলমেন্ট ৯৯ শতাংশের বেশি হলেও এখনও ঝড়ে পড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটাই চ্যালেঞ্জ। আর গুণগত শিক্ষা অর্জনকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আধুনিক যুগের বড় শক্তি জ্ঞান ও প্রযুক্তি, মধ্যম আয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারবো। সার্বিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে, এজন্য সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।
 
‘এটা প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সম্ভব নয়, গুণগত মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, বিশ্বমানের জ্ঞান, প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি নৈতিকতা ও নিষ্ঠা জাগ্রত করতে হবে। ’
 
মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের আখড়া-কথাটা ঢালাওভাবে বলা ঠিক না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু লোক ধর্মকে ব্যবহার করেন। ধর্মকে ব্যবহার করে যাতে কেউ জঙ্গি কার্যক্রম করতে না পারেন, সেটা দেখা উচিত।
 
বর্তমান সরকারের আমলে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিগত জোট সরকার একটা মাদ্রসা বিল্ডিং করেনি। আমরা ১৩০০ নতুন বিল্ডিং তৈরি করেছি, আরও ১৮০০ করবো। ৩৫টি মডেল মাদ্রাসা, ৩১টিতে অনার্স কোর্স চালু করেছি। আলাদা অধিদপ্তর করে দিয়েছি। ইসলামিক-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
 
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়া শেষে কর্মসংস্থানে আলোচনা চালাচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রী।
 
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাহিদ, এরপর অব্যাহতভাবে পালন করে আসছেন মন্ত্রীর দায়িত্ব।

বই উৎসব, এসএসসি ও এইচএসসির ফল সময়মতো প্রকাশসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫/আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।