ইবি(কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির ডাকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘোষিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
এদিকে, শিক্ষকদের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের আন্দোলনে প্রশাসনিক কার্যক্রমেও এসেছে স্থবিরতা। কর্মকর্তারাও অঘোষিতভাবে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকদের এ আন্দোলনে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার(১১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
তাদের এই আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোনো বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা হচ্ছে না। এমন কি কোনো প্রকার একাডেমিক নথিতেও স্বাক্ষর করছেন না শিক্ষকরা।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বিশেষ কোটাসহ অপেক্ষামান তালিকা থেকে ভর্তির কার্যক্রম চলছে।
এদিকে, শিক্ষকদের আন্দোলনে যেন কর্মকর্তারাও একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মকর্তা অফিসের বাইরে অলস সময় পার করছেন। আন্দোলনের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ার শঙ্কায় ক্যাম্পাসে আসেনি অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ফলে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে শিকক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় ফেডারেশনের আন্দোলনের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের সভাপতিত্বে সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১২টায় বৈঠক শেষে ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,‘আমরা ফেডারেশনের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি। এজন্য আপাতত নতুন কোনো কর্মসূচি না দিয়ে শুধুমাত্র একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করবো। ’
কর্মকর্তাদের অফিস না করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন,‘শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন করছেন। কিন্তু কর্মকর্তারা তো ঠিকমতো কাজ করছে বলে আমি জানি। এখনও আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
পিসি/