জবি: অষ্টম পে-স্কেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যের প্রতিবাদ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলসহ পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের প্রথম দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কোনো ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করেছে জবি শিক্ষক সমিতি।
কর্মবিরতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হলেও জবি’তে ছিল ভিন্নচিত্র। জবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক সব কাজও বন্ধ ছিল।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার সময় অনুযায়ী হলে উপস্থিত থাকার জন্য বলে হয়েছিল। আমরা উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও হলে দায়িত্বরত কোনো শিক্ষক না আসায় আমরা চলে এসেছি।
জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির মুখে। আমাদের আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা রাখেনি সরকার। উচ্চ শিক্ষাকে বাঁচানোর জন্য আমাদের এই আন্দোলন।
শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সরকারের কারণে হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভায়, ১১ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
আরএম