ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দোলাইরপাড় স্কুলে কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
দোলাইরপাড় স্কুলে কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা ছবি: রানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন দোলাইরপাড় স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে নানা অনিয়ম-অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ।



জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য (এমপি) আবু হোসেন বাবলা, স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, স্কুলের অনুদান দাতা নজরুল ইসলামসহ অভিভাবকরা এই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে নওগাঁর সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি, ঢাকা শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা সানজিদা খানমের বিরুদ্ধেও।

এই ইস্যুতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে স্কুলের অভিবাবক ও স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান পাল্টা অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা ও স্থানীয় কাউন্সিলর হাবুর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, এমপি এবং কাউন্সিলর তাদের দলবল নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।

তবে এ বিষয়ে এমপি আবু হোসেন বাবলা বলেন, প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়নি। তিনি রাতের অন্ধকারে অবৈধ কমিটি গঠন করেছেন। অবৈধ কমিটিতে সানজিদা খানমকে সভাপতি বানানো হয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৈরি হওয়া এ কমিটি গঠনে কোনো নির্বাচন হয়নি। স্কুলের কোনো অভিভাবক জানেনই না নির্বাচন কবে হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেনের বাবা আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ‘খ’ শাখায় পড়ে। আমি দেখে আসছি- অতিরিক্ত বেতন নেওয়াসহ স্কুলে অনেক অনিয়ম হয়। কোচিং করতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়। আর যারা কোচিং করে না তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়।

এমন সব অভিযোগের বিষয়টি যাচাই করতে গেলে বিদ্যালয়টির এমপিওভুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কোচিং করানো হয় এটি সত্যি কথা। তবে আমরা কী করবো, প্রধান শিক্ষক যদি নির্দেশ দেন কোচিং করাতে, তাহলে তো করাতে হবেই।

স্কুলের আজীবন দাতা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠন হয়েছে এটি আমি জানি না। কিন্তু সানজিদা খানম ও প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের কারণে স্কুলটি ধ্বংস হতে চলেছে।

সরেজমিনে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের ইশতেহারের লিখিত কপি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। এছাড়া নির্বচন সংক্রান্ত কোনো প্রমাণপত্রও তিনি উপস্থাপন করেননি।

উল্টো এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সানজিদা আপার বাসায় আছে। পরে দেখাতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এনএইচএফ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।