ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

নেতৃত্ব তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অ্যাকটিভ সিটিজেন্স কর্মসূচি

ডিপ্লোম্যাটিক করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
নেতৃত্ব তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অ্যাকটিভ সিটিজেন্স কর্মসূচি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিশ্বব্যাপী দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির কাজ করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন্স’ নামক কর্মসূচির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের  নেটওয়ার্কিংয়ের  ক্ষমতা ও  নেতৃত্বে দক্ষতা বৃদ্ধির করছে সংস্থাটি।



ঢাকায় শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশের বৈশ্বিক ফ্লাগশিপ প্রকল্প ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন্স’র অধীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সফর। চলবে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সুদান, মিশর, শ্রীলঙ্কা, ইউক্রেন, লেবানন, ভিয়েতনাম ও মায়ানমারের ২৫ তরুণ এতে অংশ নিয়েছে। পাকিস্তান থেকে দু’জন শিক্ষার্থীর যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতায় তারা আসতে পারেননি।

স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে এদেশের সাংস্কৃতিক পটভূমি নিয়ে সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন।

৩০টিরও বেশি দেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও প্রতিষ্ঠান সহযোগীদের দ্বারা পরিচালিত একটি বৈশ্বিক কর্মসূচি ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন্স’। যা তরুণ নেতাদের মধ্যে নাগরিক সংযুক্তি ও স্বেচ্ছাসেবা নিয়ে দক্ষতা নির্মাণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সাম্য ও সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
 
আয়োজকরা জানান, ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন্স’র মূল উদ্দেশ্য, সামাজিক উন্ননের সঙ্গে জড়িত বৈশ্বিক সংযোগের শক্তির অনুধাবন। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সমমনা ব্যক্তিরা আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের গুরুত্ব নিয়ে ভাবনা ও বোঝাপড়া নিয়ে তাদের ভাবনাকে একে অপরের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
 
রোববার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে এবারের শিক্ষা সফরের মার্কেটপ্লেস আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতিকে তাদের নিজ হাতে সাজানো স্টলে পরিদর্শন করেন।

সেখানে কথা হয় ভিয়েতনামের অংশগ্রহণকারী লি জক ডিয়েপ’র সঙ্গে। স্বদেশের জাতীয় পোশাক ও সাংস্কৃতিক নানা ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছি। তরুণদের ভাবনাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারছি। আসলে আমাদের সব দেশের তরুণদের ভাবনার সঙ্গে অদ্ভূত একটা সাদৃশ্য রয়েছে। পৃথিবীর পরিবর্তনের জন্য সব দেশের তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। আর তা সম্ভব এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে।  

স্বাগতিক দেশের স্টলটা কোনো অংশে কম নয়। ভাষা, পোশাক থেকে শুরু করে বাঙালির বাহারি সাংস্কৃতিক পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশের দুই অংশগ্রহণকারী।
 
এ প্রকল্পের পরিচালক তৌফিক হাসান বাংলানিউজকে জানান, সব তরুণই দেশের সেবা করতে চায়। সমাজের পরিবর্তন আনতে চায়। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব– সে বিষয়ে সম্যক ধারণা তাদের নেই। ব্রিটিশ কাউন্সিল চার দিনের প্রশিক্ষণে কিছু স্বেচ্ছাসেবীকে সংস্কৃতি, যোগাযোগ, সংলাপ, কমিউনিটি, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে সম্যক ধারণা দিয়ে থাকে।

২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন্স’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত  বিশ্বব্যাপী ২৬ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

তোফিক জানান, প্রশিক্ষণ নেওয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিবছর ১২০ জনকে বৈশ্বিক শিক্ষা সফরে নেওয়া হয়। যার মাধ্যমে তারা একে অপরের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে তা নিজ নিজ কমিউনিটি বা দেশে প্রয়োগের সুযোগ পান।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
জেপি/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।