ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে শিক্ষা বাণিজ্য প্রতিরোধ দিবস পালন

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
রাবিতে শিক্ষা বাণিজ্য প্রতিরোধ দিবস পালন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্ধিত ফি ও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

‘শিক্ষা বাণিজ্য প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ফি ও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।



কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে এসে সমাবেশ মিলিত হয়।

রাবি চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী শাকিলা খাতুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তমাশ্রী দাস, বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী তাসনুবা তাহরিন অন্তরা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক ইমন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ খোমেনি, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রদীপ মার্ডি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাবিতে বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পেটোয়া পুলিশ বাহিনী ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়।
 
বক্তারা আরো বলেন, প্রশাসন আন্দোলন দমাতে ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে প্রশাসন মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করা হয়নি। ইতোমধ্যে মামলার আসামি শিক্ষার্থীদের অনেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেছে। মামলার কারণে তাদের চাকরি জীবন এখন হুমকির সম্মুখীন। সমাবেশ থেকে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও সান্ধ্যকোর্স বন্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বরাবর তিন দফা দাবি সম্বলিত একটি স্বারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স ও বর্ধিত বেতন ফি বন্ধ করতে হবে, নতুন কোনো বিভাগে বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স চালু করা যাবে না এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের বর্ধিত ফি ও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। অব্যাহত আন্দোলন চলাকালে ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ। এরপর থেকে রাবিতে ২ ফেব্রুয়ারিকে শিক্ষা বাণিজ্য প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।