ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরীক্ষা দেওয়া হলো না রাবির ৫১ শিক্ষার্থীর

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
পরীক্ষা দেওয়া হলো না রাবির ৫১ শিক্ষার্থীর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ১৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ‘ডিসকলেজিয়েট’ (নির্দিষ্ট হারে ক্লাসে উপস্থিতি না থাকা) ৫১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।  
 
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে উপেক্ষা করে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ করেছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

 
 
নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাসে উপস্থিতি না থাকায় ‘ডিসকলেজিয়েট’ হিসেবে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর ফলে এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন একবছর পিছিয়ে যাবে।  
 
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর আগে শূন্য শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীরা সোমবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
 
রোববার তারা বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সোমবার তারা একইভাবে অবস্থান নিয়ে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি পালন করছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। যদি বিশেষ কারণে তা সম্ভব না হয়, জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে। কিন্তু আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫১ জনের ক্লাসে উপস্থিতি ৬০ শতাংশের নিচে।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের দাবিতে রোববার বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে প্রথম বর্ষের ‘ডিসকলেজিয়েট’ শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে দ্বিতীয় বর্ষের যাদের ৬০ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি আছে তারাও যোগ দেন। আগামী ১৫ মার্চ দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া আছে। বিকেল ৩টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।
 
আন্দোলন চলাকালে দুইজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  
 
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা স্থগিত করে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। তাদের হাতে থাকা একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমরা সন্তান, আমরা ভুল করলে শাস্তি দিতেই পারেন, তবে মৃত্যু না’। অন্য একটিতে লেখা ছিল, ‘আমরা অনুতপ্ত, আমরা পরিবার হারাতে চাই না, আমরা একটি সুযোগ চাই’। পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান তারা।
 
২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক আবু নাসের ওয়াহিদ। তিনি জানান, আমার যোগদানের পরও তারা যদি পুরোপুরি ক্লাস করতো, তাহলে ডিসকলেজিয়েট হওয়ার কোনো আশঙ্কা ছিল না। তাদের বারবার ক্লাসে উপস্থিত থাকার তাগিদ দেওয়া হলেও তারা তা উপেক্ষা করে।
 
তিনি আরও জানান, ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত যাদের উপস্থিতি ছিল, তাদেরও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণ করে। একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তের বাহিরে আমি যেতে পারবো না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬      
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।