ইবি (কুষ্টিয়া): চাকরির দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৭ ফেব্রয়ারি) দুপুরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়।
পরে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে, শিক্ষার্থীরা বাইরের বাস, ট্রাক, নছিমন, করিমনে করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ক্লাসরুম থেকে বের করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, শনিবার বেলা ১টার দিকে চাকরির দাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাহবুব হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান লিটনসহ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে সেখান থেতে বেরিয়ে যান চাকরি প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের বিভিন্ন সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামের ব্যানার ছিড়ে পুড়িয়ে দেন।
বিকেল ৩টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী রাসেল জোয়ার্দ্দার, তৌফিকুর রহমান হিটলার, কাশেম মাহমুদ, মিজানুর রহমান টিটু, শফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস জোয়ার্দ্দারসহ ২৫/৩০ জন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিভাগের সন্ধ্যাকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দেয়। পরে তারা ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ফুলের টব ভাঙচুর করে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান প্রধান ফটকের তালা ভেঙে গেট খুলে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। কিন্তু বার বার চাকরি প্রত্যাশীরা এভাবে বাস আটকে দেওয়ায় ভাড়ায় চালিত বাস চালকরা বাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়।
পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে ভাড়ায় চালিত বাসসহ ক্যাম্পাসের সব পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমানে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু সিনা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তো চাকরির খামার নয়। যে যখন চাকরির দাবি করবে আর তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে যাবে -এটাতো মানা যায় না। আমরা শিক্ষক সমিতিকে জানিয়েছি, ভিসি স্যারকে জানিয়েছি, দেখি তারা কি করেন। না হলে আমরাও দেখবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এমজেড