ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসায় চলছে খুদে মন্ত্রিসভা নির্বাচন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসায় চলছে খুদে মন্ত্রিসভা নির্বাচন

ঢাকা: দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে শুরু হয়েছে স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন-২০১৬। খুদে মন্ত্রিসভা বলে পরিচিতি পাওয়া এ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা, নির্বাচিতও হবে তাদের মধ্য থেকেই।

সোমবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, বিরতিহীনভাবে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

সকাল দশটার দিকে মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ নির্বাচন পরিদর্শন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

স্কুলের দিবা ও প্রভাতি শাখা মিলিয়ে এ বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণিতে ৩০জন শিক্ষার্থী প্রার্থী হয়ে এ নির্বাচনে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্র, পরমত সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেবে এ নির্বাচন।

কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা এবং শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধের উদ্দেশ্য নিয়ে দুই দফায় ১৬ হাজার ৪২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ছয় হাজার ৫৬৭টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৪৮৭টি উপজেলা ও আটটি মহানগরে ২২ হাজার ৯৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বছর স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর মধ্যে সোমবার চলছে ৩৭৫ উপজেলা ও আট মহানগরের ভোটগ্রহণ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩১ মার্চ বাকি ১০২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আটজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক বছরের জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট গঠিত হয়।

এবার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৮টি পদের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা এ নির্বাচনের ভোটার, তবে নির্বাচনে কোনো প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।

এবারের নির্বাচনের মোট ভোটার ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৫ জন।

একজন ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি, সর্বোচ্চ তিন শ্রেণিতে ২টি করে মোট ৮টি ভোট দিতে পারবে। প্রত্যেক শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচ শ্রেণি (ষষ্ঠ থেকে দশম) থেকে ৫ জন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত তিন শ্রেণির ৩ জন মোট ৮ জন নিয়ে স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট গঠিত হবে।

ক্যাবিনেট প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি সভা করবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন।

স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটের কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী বিতরণ, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপন ও বাগান তৈরি দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি। শিক্ষকদের সহায়তা ও শিখন-শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও এ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত।

ভোটগ্রহণ চলাকালে নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং শৃঙ্খলার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই পালন করছে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

গত বছরের ৮ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে দেশের প্রত্যেক উপজেলায়/মহানগরে মাধ্যমিক পর্যায়ের তিনটি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট গঠন করা হয়।

২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চলতি বছর প্রায় ৬২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৬
এমএন/ওএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।