ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে হল নির্মাণ কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি

ওয়ালিউল্লাহ ও নুর আলম হিমেল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
জাবিতে হল নির্মাণ কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ধীর গতিতে এগিয়ে চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বেগম সুফিয়া কামাল হলের নির্মাণ কাজ।

 

যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় হলে উঠতে পারেননি ১ম বর্ষের ১০৩ শিক্ষার্থী।

ভোগান্তির শিক্ষার এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর এর জন্য তারা প্রশাসনের অবহেলাকেই দায়ী করছেন।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৩ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় ভর্তির পরেই শিক্ষার্থীদের হলে সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী বেগম সুফিয়া কামাল হলের ১ম বর্ষের ১০৩ জন ছাত্রীর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কিন্তু ওই হলে বরাদ্দকৃত ছাত্রীরা হলে উঠতে গেলে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীরা তাদের বাধা দেন। কারণ হিসেবে তারা বলেন, এখনও হলের কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই হলে ওঠা যাবে না। যে কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রীরা হলে উঠতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে অস্থায়ীভাবে ট্রেজার ভবনে তাদের রাখা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ৫২৫ জন ছাত্রীর জন্য বেগম সুফিয়া কামাল হল নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজটি ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট বা ৪৫০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়।

২য় দফা সময় বৃদ্ধি করার পরেও এখন পর্যন্ত হলটির কাজ শেষ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রীরা বলেন, দীর্ঘ একমাস হয়ে গেল, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের হলে উঠতে পারলাম না। অস্থায়ীভাবে আমাদের ট্রেজার ভবনে রাখা হয়েছে। এখানে একরুমে ৭-৮জন গাঁদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া হলের সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেখানে সব থেকে বেশি আবাসন সংকট। হলে থাকতে না পেরে আমরা প্রতিনিয়ত নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্চের মুখপাত্র ও দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বাংলানিউজকে বলেন, এটা একেবারেই প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও সমন্বয়হীনতা বলে আমার মনে হয়। তাহলে প্রশাসন ঘোষণা করুক, এটা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ইদানিং এখানে দায়িত্বহীনতা ও সমন্বয়হীনতা প্রকট হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ ধরনের দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের মাথায় বাস্তবতা অনুযায়ী কাজের যে পরিকল্পনা ও দায়িত্ববোধের অভাব রয়েছে তা স্পষ্ট।

এ বিষয়ে বেগম সুফিয়া কামাল হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বুঝে নিলে আমরা হলে মেয়েদের ওঠানো শুরু করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অতিদ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপিল ১২, ২০১৬
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।