ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শারীরিক অক্ষমতা দমিয়ে রাখতে পারেনি মেধাকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
শারীরিক অক্ষমতা দমিয়ে রাখতে পারেনি মেধাকে

রাজশাহী: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এবার মোট ১৬ জন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৫ জন সফল হয়েছেন।

তাদের মধ্যে ১৪ জনই ছিলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।

অন্য দুইজন শারীরিক। তবে ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জনই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। যার ভেতরে চার জনই আবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তারা প্রমাণ করলেন শারীরিক অক্ষমতা দমিয়ে রাখতে পারেনি মেধাকে।  

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল কালাম আজাদ জানান, ফলাফল, রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর ছাড়া তাদের কাছে এই শিক্ষার্থীদের আর কোনো তথ্যই নেই। থাকলে আলাদাভাবে তাদের অভিনন্দন জানানো হতো।

তবে তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসকে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা হলেন- পাবনা জেলার বাবলু প্রামাণিক ও মনোয়ারা বেগমের ছেলে মনিরুল ইসলাম, একই জেলার শামসুল হক ও শিবিয়া বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল আমিন এবং মকলেসুর রহমান ও জোসনা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ আলী। এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার বেলাল হোসেন ও হালিমা বেগমের ছেলে মাসুদ করিম।

এদিকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৯ জন অর্জন করেছেন ‘এ’ গ্রেড। তারা হলেন- ভাঙ্গুড়ার হেলাল উদ্দীন ও সাবিনা খাতুনের ছেলে হাসিবুল ইসলাম, বগুড়ার মোস্তফা কামাল ও শাহানারা বেগমের মেয়ে নাঈমা আক্তার, সলঙ্গার গোলাম মোস্তফা ও পারভীন খাতুনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, রাজশাহীর পুঠিয়ার মোশাররফ হোসেন ও শাহিদা বেগমের ছেলে মনিরুজ্জামান, জয়পুরহাটের গিয়াস মোল্লা ও করিমন বেগমের ছেলে বিলকিস খাতুন, একই জেলার লুৎফর রহমান ও মজিদা বেগমের মেয়ে লিপসি খাতুন, পাবনার তোতা মল্লিক ও হেলেনা বেগমের মেয়ে গোলাপ মল্লিক, একই জেলার আব্দুর রশিদ কাজী ও মমতাজ বেগমের ছেলে হুমায়ন করিব এবং সেকেন্দার মৃধা ও সেলিনা বেগমের ছেলে ইখতিয়ার মৃধা।

এছাড়া একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পেয়েছে জিপিএ-৩.৮৩। তিনি নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার সিতানাথ বর্মন ও শোনেকা রানীর ছেলে অমৃত চন্দ্র বর্মন।

অপরদিকে শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই জনের মধ্যে রাজশাহীর আফসার আলী ও আঞ্জুয়ারা বেগমের ছেলে ইজাজ আহমেদ পেয়েছেন জিপিএ-৪.২২। আর বগুড়ার একেএম জিন্নাত রসুল ও আক্তার জাহানের ছেলে আকিব আল-জামী একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন।

এই ফলাফল বোর্ডের একটি বড় সাফল্য উল্লেখ করে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাদের মেধা ও মননশীলতাকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখতে পারনি। অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে তারা এমন ঈর্ষন্বিয় ফলাফল করেছে। এ সময় তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এসএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।