ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কথিত সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬
কথিত সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের দাবি

ঢাকা: দেশে সুনির্দিষ্ট দফাভিত্তিক একমুখী শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তবে সেই ব্যবস্থায় জীবিকামুখী শিক্ষাসহ ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও যোগ করেন, কথিত বর্তমান সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে সত্যিকারের সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে।

শনিবার (২১ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬: বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারিকরণ ও বহুধারার শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈধতার আইন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতির আইনগত বৈধতা দেওয়ার জন্য শিক্ষা আইন-২০১৬ করা হচ্ছে। তবে শিক্ষানীতিতে দেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি আনা উচিত।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা আইন পড়ে মতামত জানানোর জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের চালাকিও রয়েছে। আর কথিত বর্তমান সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে সত্যিকারের সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে। এছাড়া ষষ্ঠশ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা করতে হবে। গাইড বই বন্ধ করতে হবে। সৃজনশীল ব্যবস্থায় এই গাইড বই ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
 
‘প্রাথমিক শিক্ষায় ১৩টি ধারা, আর আমি বলি ১৪টি। বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যম যোগ হয়েছে। এই ধারা এক সঙ্গে বন্ধ করা যাবে না। কমিউনিস্ট পার্টিকে ক্ষমতা দিলেও তারা পারবে না। এটি ধাপে ধাপে একমুখী করতে হবে’।

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যারা বন্ধ করতে চান তারা কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, তাদের (মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের) মতামত নিয়ে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ তারা এখন অনেক বড় শক্তি। আপনাদের মনে রাখতে হবে এতো কিছুর পরও বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় গেছে।
 
গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আজম, সাংবাদিক সুশান্ত সনহা এবং শিফা বার্তার সম্পাদক এ. এন রাশেদা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬
এসএমএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।