ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মায়ের ভাষায় শিখবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৬
মায়ের ভাষায় শিখবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা ছবি: দীপু মালাকার - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে দেশের পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা। প্রথমবারের মতো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদরি ও গারো ভাষায় প্রস্তুত হচ্ছে প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা উপকরণ।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তনে আয়োজিত ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।

তবে শুধু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্যই নয় প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বইয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বছর বিভিন্ন স্তরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে নয় হাজার ৬৬টি বই। এছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য ‘টিচার্স গাইড’ (প্রাথমিক) ও ‘টিচার্স কারিকুলাম অ্যান্ড গাইড’ (মাধ্যমিক) নামে পাঠদানে সহায়ক বই প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য ৫৮ সেটে ষাট লাখ এবং মাধ্যমিকের জন্য চল্লিশ লাখ বই ছাপা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নয় হাজার ৬৬টি ব্রেইল বই ছাপাচ্ছি যা বছরের শুরুর দিনই দিতে পারবো আশা করি।

শিক্ষকদের জন্যও সহায়ক বই ছাপা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সদস্য ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ও অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, পার্বত্যচুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার থাকলেও গত দুই দশক তা ছিল অবাস্তবায়িত। চার বছর আগে প্রাথমিক স্তরে পাঁচটি নৃগোষ্ঠীর ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের জন্য মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষী শিক্ষা (এমএলই) বিষয়ক জাতীয় কমিটিও গঠন করে সরকার। পুস্তক ছাপানোর প্রস্তুতির নানা ধাপ ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আগামী বছর ছাপা হতে যাচ্ছে এই পুস্তক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৬
এইচআর/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।