ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

একাদশে ভর্তির প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৬
একাদশে ভর্তির প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ

ঢাকা: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় মনোনীতদের তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।
 
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯২২ জন স্থান পেয়েছেন, যা শূন্য আসনের তুলনায় সাড়ে ৫ গুণ।

 
 
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় কলেজ ভর্তির ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের রোল, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন।
 
এছাড়াও আবেদনকৃত প্রতিটি কলেজে মেধা তালিকায় অথবা অপেক্ষমাণ তালিকায় ফলাফল পাওয়া যাবে। আবেদনকৃত কলেজের নোটিশ বোর্ডেও ফলাফল দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
 
অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২৫-২৭ জুনের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি করানো হবে। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণ সঙ্গে সঙ্গেই করতে হবে বলে ভর্তির ওয়েবসাইটে জানানো হয়।
 
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, আসনের কয়েকগুণ বেশি প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করায় ভর্তিতে সমস্যা হবে না।
 
বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মনজুরুল কবীর বাংলানিউজকে জানান, মেধা তালিকা থেকে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ভর্তির জন্য নিশ্চয়ন করেছিল। মেধা তালিকা থেকে ভর্তির পর শূন্য আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণদের ভর্তি করানো হবে।
 
৩ লাখ ২১ হাজার নতুনসহ যারা ভর্তি হয়েছে, কিন্তু পছন্দের ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারেনি কিংবা অপেক্ষমাণ ছিল তারাও প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়ে সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট বলেন, এখন আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে তারা পছন্দের কলেজে যেতে পারবেন।
 
সরকারি-বেসরকারি কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীতদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৬ জুন। মেধা তালিকায় শূন্য আসনের বিপরীতে ৯ লাখ ৭৪ হাজার শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ভর্তি হয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার। আর তিন লাখ ২০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়।  
 
আসনের বিপরীতে মেধা তালিকায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের ১৮-২২ জুনের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে।  
 
২৮ জুন দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশের পর ভর্তি হওয়া যাবে ২৮-৩০ জুন। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে ১০ জুন।
 
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন। আর এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি।
 
কলেজগুলোতে ২১ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬টি আসন আছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, সাত লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে।
 
গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর কলেজে ভর্তিতে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ২৬ মে। ঘোষণা অনুযায়ী ৯ জুন আবেদন জমা নেওয়ার সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১০ জুন পর্যন্ত সেই সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।
 
আবেদনকারী ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনলাইনে নয় লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ জন এবং এসএমএসে চার লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন আবেদন করেন।
 
এছাড়া মোট ভর্তির আবেদন পড়ে ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০। এরমধ্যে অনলাইনে ৪০ লাখ ৪৯ হাজারের ৭৮০টি এবং এসএমএসে চার লাখ ৪২ হাজার ৩৬০টি।
 
টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট বা এসএমএস করে ভর্তির আবেদন করেন।  
 
অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।
 
সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৮৫ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন। তবে ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কেউ আবেদন করেনি।
 
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৩৬টি, মাদ্রাসা বোর্ডে ১০টি, ঢাকা ও রাজশাহী বোর্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে কোনো আবেদন পড়েনি।  
 
ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রথম প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাতিল না করে দ্বিতীয়টিতে ভর্তি হওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীকে ভর্তি বাতিল করতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। একবার ভর্তি বাতিল করলে আর ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকবে না। ভর্তি বাতিল করতে হবে ১৮-৩০ জুনের মধ্যে।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট আসন ২১ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬টি। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রায় সাত লাখ আসন অতিরিক্ত রয়েছে। তবে আসনের অভাবে কেউ ভর্তির বাইরে থাকবে না।
 
মোট ভর্তিযোগ্য কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে চার হাজার পাঁচশ ২৭টি, মাদ্রাসা বোর্ডে ২ হাজার ৭০১ এবং কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৮৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।