ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাতেই মানসস্মত শিক্ষা দিতে হবে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাতেই মানসস্মত শিক্ষা দিতে হবে 

ঢাকা: বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার মধ্যে থেকেই শিক্ষাসহ শিক্ষাখাতে জড়িত সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্ববান জানান।

মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সরকার যা দিচ্ছে, তার সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। এমন কি তার ফলও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষা হলো ভিত্তিভূমি, যা নষ্ট হলে সব শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া শিক্ষার জন্য অন্য যেসব জিনিস চাচ্ছি তা বর্তমানে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে সবার কাছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা ছোটা ব্যাপার হয়ে গেছে।

সম্মেলনে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতরা মনে করছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক, স্কুলের সময় কমানো, শহরের বিদ্যালয়গুলোতে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া এবং ছাত্র-শিক্ষকের আনুপাতিক হার কমানো জরুরি।

একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তুরিন নাজনীনা বলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার মাধ্যে কারিগর শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা মানসম্মত করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এস এম মাসুদ জামান। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত স্কুলের সময়সূচি করা এবং মিডডে মিল চালু করলে শিশুদের ধরে রাখা সম্ভব।

সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশনের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন সামস বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে দাতা সংস্থার সব পরামর্শ নেওয়া যাবে না। নিজস্ব উদ্যোগেও কাজ করতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুলের সময়সূচি হলে ভালো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ুন খালিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত সচিব আকরাম হোসেন, সাবেক শিক্ষা সচিব এনায়েত খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।

সম্মেলনে দেশের ৬৪ জেলার ২৫৬ জন ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
এফবি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।