ঢাকা: বদলির তদবিরের জন্য আসা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি অভিযোগও গ্রহণ করবে।
মন্ত্রণালয়ের কাজ-কর্ম স্বাভাবিক রাখতে বদলির তদবিরের জন্য আসা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে বুধবার (২ নভেম্বর) দুই উপ-সচিবকে নিযুক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই দুই কর্মকর্তার একজন বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, তারা একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছেন। সেখানে একটি রেজিস্ট্রার খাতা খোলা হয়েছে। যে কর্মকর্তা বদলির তদবিরের জন্য আসবেন খাতায় তার নাম, পদবি, উদ্দেশ্য, প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। এই হেল্প ডেস্কে মন্ত্রণালয়ের এও-পিওরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।
পাশাপাশি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আসবেন সেখানকার কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কি-না সেটাও লিপিবদ্ধ করা হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বদলির তদবির নিয়ে মন্ত্রী, সচিব এবং কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হচ্ছে শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কাজ-কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে মন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশে তদবিরের জন্য আসা কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই উপ-সচিবের একজন বলেন, তারা নিয়মিত হেল্প ডেস্ক এবং রেজিস্ট্রার খাতা ফলোআপ করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে কেউ যাতে ভুল পোস্টিংয়ের শিকার না হন বা হয়রানি না হন সে বিষয়টিও তারা দেখবেন।
কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে ওই চিঠিতে বলা হয়, বদলির তদবিরে মন্ত্রণালয়ে আসা বিসিএস সাধারণ শিক্ষাক্যাডারের কর্মকর্তার সংখ্যা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়ে গেছে। এতে মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে মন্ত্রণালয়ে তদবিরকারী কর্মকর্তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্ণিতাবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত বদলির তদবিরে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মন্ত্রণালয়ে আগমনকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুতের জন্য দু’জন উপসচিবকে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখা থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশে বলা হয়, বদলি সংক্রান্ত আবেদনের হার্ড কপি কোনোভাবেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরাসরি গ্রহণ করা হবে না। বদলি সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে সশরীরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসা যাবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে আসতে হলে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
‘ক্লাস ফাঁকি বা দায়িত্বে অবহেলা করে মন্ত্রণালয়ে আগমনকারী কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
ওই আদেশে ই-মেইলের মাধ্যমে বদলির আবেদন পাঠাতে বলা হয়। প্রতি মাসে সভা করে সেই আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
** তদবিরের জন্য আসা কর্মকর্তাদের ধরবে মন্ত্রণালয়!
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি