ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

পাঠ্যবইয়ে ভুল: তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে এনসিটিবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৭
পাঠ্যবইয়ে ভুল: তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে এনসিটিবি পাঠ্যপুস্তকে ভুল

ঢাকা: নতুন বছরের প্রথম দিন হাতে বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যবই পেয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দ থাকলেও বইয়ের ভুল নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না অভিভাবকরা। নানা মহলে শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রথম থেকে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ভুলগুলো নিয়ে সমালোচনায় পড়েছে বই প্রণেতা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

ভুলের দায় ঘাড়ে পড়া এনসিটিবি বলছে, পাঠ্যবইয়ের এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১ জানুয়ারি সারা দেশে উৎসব করে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়।

কিন্তু বইগুলো হাতে পেয়ে ভুল ধরা পড়তে শুরু করে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় সমালোচনা।

প্রথম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ও-তে ওড়না (ওড়না চাই) বলে শিশুর ছবি ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ পাঠ নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ওড়না বিতর্ক’। ওই শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ের ১১ পাতায় লেখা ও ছবিতে ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’; এমন ভাব ফুটিয়ে তোলা হয়। অ-তে অজ (ছাগল) বোঝাতে গিয়ে ছাগলের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই ‘আমার বই’তে কুসুমকুমারী দাসের কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’র মূল লাইন ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’র শব্দ উল্টে দিয়ে সেখানে শব্দ বদলে দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে’। একই কবিতার কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করা হয়েছে।

মর্মবাণী প্রকাশ করতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্মশিক্ষা বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানো হয়েছে ‘DO NOT HEART ANYBODY’, বোঝাতে চাওয়া হয়েছিলো ‘কাউকে আঘাত দিও না’। আঘাতের ইংরেজি হার্ট (Heart) ছাপানো হয়েছে।

এনসিটিবি’র উদাসীনতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ে এসব ভুল নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বুধবার বাংলানিউজকে বলেন, ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন এটা পজেটিভ। কেন ভুলগুলো হলো, কারা-কীভাবে ভুলগুলো করলো- তা বের করতে আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবো।

পাঠ্যবই ছাপানোর আগে পাণ্ডুলিপি জমা হয় এনসিটিবিতে। সেই পাণ্ডুলিপি যাচাই করে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়। কাজেই ভুলে দায় পড়ে এনসিটিবির ঘাড়ে। পাণ্ডুলিপি না পরবর্তী ধাপে ভুলগুলো হয়েছে; তা তদন্ত করে জানা গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

** প্রাথমিকের বইয়ে আঘাতের ইংরেজি Heart
** তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে ‘আদর্শ ছেলে’ বিকৃতি, সমালোচনার ঝড়

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।