ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পবিপ্রবিতে ১৭ ঘণ্টা পর ‘মুক্ত’ ভিসিসহ কর্মকর্তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
পবিপ্রবিতে ১৭ ঘণ্টা পর ‘মুক্ত’ ভিসিসহ কর্মকর্তারা ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত ভিসিসহ কর্মকর্তারা-ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্যসহ (ভিসি) অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

পাশাপাশি আলোচনা সাপেক্ষে প্রবেশন পদ্ধতি বাদ দিয়ে স্পেশাল পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর দাবিতে শুরু করা আন্দোলন থেকে সরে গেছে শিক্ষার্থীরা।

দফায় দফায় সভা শেষে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সরে যায়।

পরে একে একে ভেতরে আটকা পড়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন। এর আগে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা ধর্মঘট এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকসহ সবক’টি প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. হারুন অর রশিদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

পবিপ্রবি’র প্রক্টর কমিটির প্রধান ড. পূর্ণেন্দু বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী একটি বিষয়ে ফেল করলে তাকে পরের বছরে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে পরের সেমিস্টারে যেতে হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের এক সেমিস্টারে দু’বছর ব্যয় হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এমন নিয়ম মানতে নারাজ। তাদের দাবি ফেল করে এক বছর তারা একই সেমিস্টারে থাকতে পারবেন না। তাদের জন্য স্পেশাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করে পরের সেমিস্টারে যাবার সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একটি আইনের মাধ্যমে প্রবেশন প্রথা চালু হয়েছিলো, সে আইনটি রহিত করা হয়েছে। প্রবেশন প্রথা থাকবে না, এ আশ্বাসের ভিত্তিতে রাতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নিলে ভিসিসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসে।

এদিকে সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টার সময় পাঁচ শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। তবে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে কেউ স্বীকার করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলো। সোমবার (২০ মার্চ) দাবির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেয়া হলে প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শুরু করে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
এমএস/আরবি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।