ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুল-মাদরাসায় ‘মন্ত্রিসভা’ গঠনে ভোট বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
স্কুল-মাদরাসায় ‘মন্ত্রিসভা’ গঠনে ভোট বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত ব্রিফিং করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৈশোর থেকে গণতন্ত্র চর্চা এবং স্কুল-মাদরাসার পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে দেশের মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-মাদ্রাসায় ‘স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন’ হবে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ)।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সাল থেকে স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট গঠন করা হলেও মাধ্যমিক স্তরে ২০১৫ সাল থেকে কিশোর শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা গঠনে এ নির্বাচন হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।


 
তিনি বলেন, কৈশোর থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়াও ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করতে এ নির্বাচন হচ্ছে।
 
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ১৬ হাজার ৫০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬ হাজার ৪০২টি দাখিল মাদ্রাসায় এ নির্বাচন হবে।
 
নির্বাচনে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭২টি পদের জন্য ২ লাখ ৭১ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভোট দেবেন ১ কোটি ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫১ জন শিক্ষার্থী।
 
তবে গত বছরের তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা কমেছে। গতবছর ২২ হাজার ৮৮৯টি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৮৩ হাজার ১১২টি পদের বিপরীতে ছিল তিন লাখ ২১ হাজার ৮৪৬ জন। ভোটার ছিল ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৫ জন।
 
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসারসহ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও থাকবে শিক্ষার্থীদের উপর। শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ এবং অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবেন।
 
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীই ভোটার জানিয়ে নাহিদ বলেন, ভোটার তালিকাভুক্ত যেকোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পেরেছে।
 
তিনি জানান, প্রত্যেক ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি, সর্বোচ্চ তিন শ্রেণিতে ২টি করে মোট ৮টি ভোট দিতে পারবে।
 
প্রত্যেক শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচটি শ্রেণি (ষষ্ঠ-দশম) থেকে ৫ জন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিন শ্রেণির ৩ জনকে নিয়ে এক বছরের জন্য ৮ সদেস্যর মন্ত্রিসভা হবে।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্যাবিনেটের কর্মপরিধিতে থাকবে পরিবেশ সংরক্ষণ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য; ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি, দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি।
 
নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠকে বসবে কিশোর শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা।
 
বৈঠকে ‘কেবিনেট প্রধান’ নিজেদের মধ্যে কর্মবণ্টন, সহযোগী সদস্য মনোনয়ন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা করবে।
 
স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটকে মাসে কমপক্ষে একটি সভা করতে হবে। শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। প্রতি ছয় মাস পর সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের সাধারণ সভা হবে।
 
কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জের চারটি উপজেলায় ৩০ মার্চ নির্বাচনের দিন থাকায় ওইসব ইউনিয়নে ৮ এপ্রিল স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভারে সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ব্যানেবেইস পরিচালক ফসিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।