ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী বসছে এইচএসসিতে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী বসছে এইচএসসিতে

ঢাকা: চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (০২ এপ্রিল)। এ বছর দশ শিক্ষা বোর্ডে মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। তবে গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন। 

প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি প্রথম পত্র এবং ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্ট্যাডিজের (ডিআইবিএস) বাংলা আবশ্যিক প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।


 
সূচি অনুযায়ী, ২ এপ্রিল থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১৫ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে ২৫ মে শেষ হবে।  
 
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন এবং পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন ছাত্রী।  
 
আট হাজার ৮৬৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। গত বছরের তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩১টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ৪৫টি। গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন। এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
 
চলতি বছর এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে নয় লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০ জন, কারিগরী বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ ৯৬ হাজার ৯১৪ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৬৬৯ জন পরীক্ষা দেবে।
 
২০১২ সালে শুধু বাংলা প্রথমপত্রের সৃজনশীল বিষয়ে পরীক্ষা হলেও এবছর ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকবে না।
 
এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০মিনিট সময় পাবেন।
 
আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবেন অতিরিক্ত ৩০মিনিট সময়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
 
পরীক্ষা কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ছবি তোলা যায় এমন মোবাইল ফোন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও সঙ্গে রাখতে পারবেন না। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।