ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

শনিবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই গুরুত্বারোপ করেন।

অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনসহ সিনেট সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্বের বহু জাতি নিজেদের মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। নোবেল পুরস্কারে তারাই ভূষিত হচ্ছেন। কিন্তু আমাদের শিক্ষক সমাজ মাতৃভাষায় জ্ঞান পরিবেশনে কুণ্ঠাবোধ করেন। অনেকে পরিভাষার ধুয়া তুলে দায় এড়িয়ে যান। অথচ বিজ্ঞানের শিক্ষকরাই নিজ নিজ বিষয়ে উপযুক্ত পরিভাষা তৈরি করতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বাংলাভাষার মাধ্যমে যারা বিজ্ঞান চর্চায় ভয় পান, তারা হয় বিজ্ঞান বোঝেন না অথবা বাংলাভাষা জানেন না। ’ তিনি প্রাথমিক পর্যায় থেকে বিজ্ঞান শিক্ষার আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্য কেন্দ্র নয়। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি উচ্চশিক্ষার মূল লক্ষ্য। যে কোনো সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অদক্ষ পেশাজীবী বের হলে শুধু সমাজ নয়, জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নতুন প্রজন্ম। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অধিক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির প্রলোভন থেকে বিরত থাকতে হবে।

সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকেই একমাত্র আরাধ্য ভাবা রীতিমত কুসংস্কার বলে তিনি মন্তব্য করেন উপাচার্য। শিক্ষাবান্ধব শেখ হাসিনা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপাচার্যের অভিভাষণের পর ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ৬৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার রাজস্ব ব্যয় সংবলিত প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রাপ্য ৬১০ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। ফলে এবছর বাজেটে ১১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ঘাটতি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

অধিবেশনে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ৬৬৭কোটি ১৯ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সংশোধিত ও প্রস্তাবিত বাজেটের সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। পরে সিনেট সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এসকেবি/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।