এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৮৭৫ জন অংশগ্রহণ করে ৭২০ জন, ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩৮৪ জন অংশগ্রহণ করে ৪৭ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১১১ অংশগ্রহণ করে ২২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
টানা ৪ বছর শীর্ষে থাকা কলেজটির জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের শতকরা হার ৫৭.৫৮ শতাংশ এবং পাসের হার ৯৯.৪২ শতাংশ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থতার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে নি বলে জানিয়েছে কলেজটির অধ্যক্ষ মো. আমিনুর রহমান খান।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে কলেজটির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।
এ সময় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কলেজ প্রাঙ্গণে ব্যাপক আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকতে দেখা যায়।
গতবারের তুলনায় প্রায় ২০০ সংখ্যক জিপিএ ৫-এর পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়া এবার বাংলা ও ইংরেজিতে 'এ' প্লাস না পাওয়ায় গোল্ডেন 'এ' প্লাসের সংখ্যাও কমে গেছে ব্যাপক হারে।
এ বিষয়ে রাজউক কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। ২০১১ সাল থেকে আমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় কলেজ হিসেবে স্থান দখল করে আছি। আমাদের কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নি। না হলে আমাদের পাসের হার শতভাগ থাকতো।
গতবারের তুলনায় এবারের 'এ' প্লাসের সংখ্যা কম এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশে পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। আমরাও তার বাইরে নয়। তাই আমাদের এ প্লাসের সংখ্যাও কিছুটা কমে গেছে। এর প্রধান কারণ, সৃজনশীল পদ্ধতিটা। শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন এ পদ্ধতিতে বাংলা এবং ইংরেজীতে এ প্লাস পাওয়াটাও কঠিন। যারা খুব ভালোভাবে পড়েছে তারাই পেরেছে।
‘এ’ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থী রায়হান বাংলানিউজকে জানান, শুধু ইংরেজির জন্য গোল্ডেন পেতে পারিনি। তবে তাও ভালো লাগছে। সবাই মিলে আনন্দ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমএএম/এএটি/