ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জরাজীর্ণ স্কুলে কমছে শিক্ষার্থী

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৭
জরাজীর্ণ স্কুলে কমছে শিক্ষার্থী জরাজীর্ণ স্কুল, ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি পরিত্যক্ত। ঝড়ের সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা থাকে আতঙ্কে। বৃষ্টি শুরু হলে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে। টিনশেডের বিদ্যালয়টির কাঠের খুঁটিগুলোতে ধরেছে ঘুনে। দরজা-জানালা, চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চগুলো ভাঙাচুরা।

উন্নয়ন বঞ্চিত এ সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমছে প্রতি বছরে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড এলাকায় ১৫১নং জয়েরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিই এমন জরাজীর্ণ।

 

সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রটি চোখে পড়ে। বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জোর দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর।  

সরেজমিনে গিয়ে ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে স্থাপিত জয়েরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি এক তলা। কিন্তু তিন বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনটি ছাদে শেওলা পড়া কলাম ও দেয়ালে ফাটল। পলেস্তার খসে গেছে। জরার্জীণ ও চুর্ণবির্ণ। বর্তমানে পাশেই থাকা টিনশেডের তিনটি কক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষকদের একটি অফিসকক্ষ আধাপাকা।  

টিনশেডের টেব খাওয়ানো, জোড়াতালি শ্রেণীকক্ষে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে প্রচন্ড গরমে লেখাপড়া করছে ২২৭ জন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী। জরাজীর্ণ স্কুল ও শিক্ষার্থীরা, ছবি: বাংলানিউজশ্রেণীকক্ষগুলো বৈদ্যুতিক পাখা নেই। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের চেয়ার ও শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চগুলোর জয়েন্ট খুলে আলাদা হয়ে গেছে।  

বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা দেখে প্রতিবছর কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।  

গত ২০১৫ সালে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৪৩০ জনের বেশি। ২০১৬ সালে শিক্ষার্থী কমে দাঁড়ায় ৩৩৫জন।  

বর্তমানে (২০১৭ সালে) শিক্ষার্থী রয়েছে ২২৭ জন। বিদ্যালয়ে পাঁচটি পোস্টের মধ্যে একটি পোস্ট খালি রয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষিকা রয়েছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক জানান, বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের নাম লেখার কোনো জায়গা নেই। কেউ আসলে বলতে পারবে না এ বিদ্যালয়ের নাম কি। বিদ্যালয়ে কোনো ভবন নেই। ভবন না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে ক্লাস করছে। জয়েরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন খুবই প্রয়োজন।  জরাজীর্ণ স্কুল, ছবি: বাংলানিউজএটা আমার এবং এলাকার সকলের দাবি। ভবনের অভাবে যেন শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ না হয়।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরা পারভীন জানান, তিনবছর ধরে বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। সরকারি সহযোগিতার জন্য আবেদন করেও লাভ হচ্ছে না।  

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় টিনশেডের তিনটি কক্ষে ক্লাস করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ঝড়ের সময় নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাথরুমে আশ্রয় নিতে হয়। এমন জরার্জীণ বিদ্যালয় গাজীপুরে আরো আছে কিনা আমার জানা নেই। সরকারি এ বিদ্যায়লটি উন্নয়ন বঞ্চিত।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭ 
আরএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ