বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মিলনায়তনে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ফেনী জেলার সব নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকদের সঙ্গে মত-বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের পরে বোর্ড থেকে স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষকদের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয় কি কারণে এ বিপর্যয়।
তিনি বলেন, অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশ করার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হতে পারবে না- তাদের কোনোভাবেই সেন্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। এটি করতে পারলে পাসের হার আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলে নম্বর পত্র প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোর্ডের কাছে জমা রাখতে হবে।
ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় শতকরা প্রায় ৬০ শতাংশ অকৃতকার্য হয় ইংরেজীতে। এ বিষয়েও স্কুলের শিক্ষকদের আরো মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মত-বিনিময় সভায় শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও চাওয়া-পাওয়ার বিভিন্ন বিষয়েও কথা বলেন বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেক।
ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা’র বিদ্যালয় পরিদর্শক ইলিয়াস উদ্দিন আহম্মদ, জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত নাথ।
এছাড়ও বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও শিক্ষক নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমএইচডি/জিপি