এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে রোববার (২০ আগস্ট) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ভিসি কাজী শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক এম মোফাখখারুল ইসলাম, সাবেক প্রো-ভিসি তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমদসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পুন:তদন্তে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
অন্যরা হলেন- ফাহিমা সুলতানা, দিলরুবা বেগম, এইচ এম তায়েহীদ জামাল, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মোল্লা মাহফুজ আল হোসাইন, শেখ মুহাম্মদ মোফাজুল হোসাইন, রিফাত আরা রত্না, মো. নূর রহমান ও মো. শহিদুর রহমান।
আদালতে মুল মামলার বাদীপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেহান হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আসমা আক্তার ও মোহাম্মদ ইমাম হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এস এম আব্দুল মোবিন।
রায়ের পরে রেহান হোসেন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. হাফিজুর রহমান ২০১২ সালের ০৭ জুলাই জয়দেবপুর থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অবৈধভাবে বেতন-ভাতা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
দুদক আইনের তফসিলভূক্ত অপরাধ হওয়ায় এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দেয় দুদক। ওই প্রতিবেদনে ১৩ আসামির সবাইকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
পরে এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে নারাজি দেন হাফিজুর রহমান। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন জানান কাজী শহিদুল্লাহ, মোফাখখারুল ইসলাম, তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী ও কাজী ফারুক আহমদ।
তাদের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেছিলেন। এ রুলেরই চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায় বলেও জানান ব্যারিস্টার রেহান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর