শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার মুখে সোমবার (২১ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগে তুলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বহিষ্কারের দাবিতে সেদিনই উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। পরে তারা ওই শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন গুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। তাদের আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি বিভাগেই হতে পারেনি কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা। ছাত্রলীগের দাবির মুখে ১৭ আগস্ট ওই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক এক মাসের ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানার সঙ্গে সঙ্গে মাহবুবুলের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে গত রোববার (২০ আগস্ট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ নিজ কার্যালয়ে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের তৃতীয় দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এইচএ/