সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে মামলা দায়েরের পর বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ লাইনের সামনে থেকে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করেন দুদকের কর্মকর্তারা।
সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমের বাড়ি নগরীর ভদ্রা এলাকায়।
দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) শেখ ফায়াজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, একজন শিক্ষা কর্মকর্তা হয়েও তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি নিয়ে বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে সোমবার সকালে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি করেন। দুদকের ওই কর্মকর্তাই আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করেছেন। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় তদন্তেও বৃত্তি জালিয়াতির ঘটনাটির প্রমাণ মিলেছে। তাই আবুল কাশেম এখন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
২০১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে তাদের বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে । এ নিয়ে খবর প্রকাশের সূত্র ধরে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্তে অভিযোগটির সত্যতার প্রমাণ মেলে।
প্রাথমিকের বৃত্তিতে ফল জালিয়াতির অভিযোগটির বিষয়ে এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরও তদন্ত করে। সেখানেও জালিয়াতি ধরা পড়েছে। পরে ওই ৪০ শিক্ষার্থীর বৃত্তি বাতিল এবং আবুল কাশেমসহ তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়।
এর পরই আবুল কাশেমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এসএস/এএসআর