ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৪ আগস্ট হল বন্ধ হয় এবং ৯ সেপ্টেম্বর হল খোলা হয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর সব বিভাগের রুটিনমাফিক ক্লাস শুরু হয়েছে।
যাত্রার দীর্ঘ সময় পর সকালবেলা ক্যাম্পাসে পৌঁছে একইসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
নোয়াখালী থেকে আসা আল ফিকহ বিভাগের ফাহিম বলেন 'দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা বাস জার্নি শেষে সকাল ৮টায় ক্যাম্পাসে এসেছি। দীর্ঘ জার্নি শেষে সকাল ৯টায় আমার পক্ষে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। ’
অর্থানীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইফ বলেন 'একইদিনে হল খুলেছে। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। '
এদিকে বিগত দিনগুলোতে ক্লাস শুরু হওয়ার একদিন আগে হল খুলে আসছে হল প্রশাসন। কিন্ত এ বছর প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও। রুটিন অনুযায়ী ক্লাস থাকা সত্ত্বেও ক্লাসে যেয়ে শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না তারা।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন ‘হল খোলা ও বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
আরআর