ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক পরিবর্তনের প্রতিবাদে কর্মসূচি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক পরিবর্তনের প্রতিবাদে কর্মসূচি পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক পরিবর্তনের প্রতিবাদে কর্মসূচি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক পরিবর্তনের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আগামী রোববার (১৭) সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।


 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা সর্বত্রই শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ ও বাণিজ্যকীকরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শিক্ষা বছরে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী, ভুলে ভরা এবং জামায়াত-হেফাজতের ভাবাদর্শে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে এবং শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উপেন্দ্রকিশোর রায়, লালন শাহ, রণেশ দাসগুপ্ত, হুমায়ুনি আজাদসহ বিখ্যাত লেখকদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে।
 
এ সময় তিনি পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- সাম্প্রদায়িক ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রণীত পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করে, প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা লেখকদের লেখাগুলো যুক্ত করে মানসম্মত, চিত্তাকর্ষ পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা, সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, একই ধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা, শিক্ষার সকল স্তরে বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যকীকরণ বন্ধ করা, চারু ও কারুশিক্ষা বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে মূল বিষয় হিসেবে অন্তভূর্ক্ত করা এবং ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন এর যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল লোহানী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ড. শফি আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।