বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে কোনো ধরনের সেবা পাননি বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। তারা অভিযোগ করে বলেন, হটলাইন নম্বরে ফোন দিলে হয়তো কখনো বন্ধ, কখনো ফোন কেটে দেওয়া কিংবা অটো ব্যস্ত দেখাচ্ছে।
এমনি বিড়ম্বনার শিকার ‘ই’ ইউনিটে এক পরীক্ষার্থী হটলাইনে ফোন করে না পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে বুধবার সকালে জবি ক্যাম্পাসে এসে তার সমস্যার সমাধান করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার যে সমস্যা ছিলো তা ফোনেই সমাধান করা যেতো। কিন্তু ওয়েব সাইটে যে হটলাইনের নম্বর দেওয়া আছে তাতে গত দুইদিন ধরে ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করে নি। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় আসতে হয়েছে।
একইভাবে সিলেট থেকে বায়জীদ আলম নামে ‘সি’ ইউনিটের আরেক পরীক্ষার্থী তার সমস্যা সমাধান করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রবেশ পত্র আসছিলো না। ‘অ্যাপ্লিকেশন ইনকমপ্লিট দেখাচ্ছিল। কেন এমনটি দেখাচ্ছিল তা জানার জন্য হটলাইনে কয়েকবার ফোন দিলেও কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি। তাই নিজেই সশরীরে এসেছি।
সমস্যার সমাধান হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রথমে সহকারী রেজিস্ট্রার মশিরুল ইসলামের কাছে যাই। পরে রেজিস্টার অফিসের সেকশন অফিসার হেদায়েতুল্লাহ তুর্কির রুমে গেলেও কোনো সমাধান হয় নি। আমার প্রবেশ পত্রের সমস্যা যিনি দেখবেন তিনি সন্ধ্যায় আসবেন। তাই আমাকে সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া যায়, ভর্তি সংক্রান্ত কাজে নিজে এসেও তারা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আশানূরুপ সেবা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রেজিস্ট্রার মশিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সেবা দেওয়ার জন্য। হটলাইনের বিষয়ে তিনি বলেন হটলাইনে সবসময় সেবা দেওয়া সম্ভব না। তাই হটলাইন নম্বর বন্ধ থাকা, ফোন কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
রেজিস্ট্রার অফিসের সেকশন অফিসার হেদায়েতুল্লাহ তুর্কি এ বিষয়ে বলেন, আমাদের হটলাইনে সেবা পাচ্ছে না এটা ভুল কথা। অনেকে চেষ্টা করছে কথা বলার জন্য তাই হয়তো এ সমস্যা হচ্ছে। ফোন বন্ধ থাকা কিংবা কেটে দেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তো রিসিভ করার সময় নাই কাটবো কখন?
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, একটি নম্বরে অনেকে ফোন দেওয়াতে হয়তো ব্যস্ত দেখায়, কিংবা যিনি এ বিষয়টা দেখছেন তার পারসোনাল ফোন বা খাওয়া-দাওয়ার সময়ে ফোন রিসিভ পারেন না।
অপরদিকে ফোন কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে একই বিষয় জানতে বার বার ফোন দেওয়া হয় তাই মাঝে মধ্যে বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের ফোন যেনো কোনোভাবে না কাটা হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
ডিআর/ওএইচ/