সোমবার (৯ অক্টোবর) সমাবিজ্ঞান অনুষদে ৪০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাত ৯টায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ৪৬তম ব্যাচের মোহাইমিনুল ইসলাম সালমান। কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র আবদুল আল নোমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ‘এ’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন সালমানের বন্ধু শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সরোয়ারের ছোট ভাই মেহেদী হাসানের হয়ে পরীক্ষা দেয় কামরুজ্জামান রাজ্জাক। ওএমআর শিটে স্বাক্ষরের সময় পরীক্ষক অ্যাডমিট কার্ডে মেহেদী হাসানের ছবির সঙ্গে রাজ্জাকের ছবির কোনো মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাজ্জাকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য দু’জনকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডি।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন রাজ্জাক ও সালমান। তবে নোমান ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পরে রাত ৯টায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজ্জাক ও সালমানকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে নোমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা অনুযায়ী দোষী
প্রমাণিত হওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে এক মাসের জন্য বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি একজনকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এএ