শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ডাইনিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জাহিদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অপরদিকে মারধরকারী আব্দুর রহিম স্বপ্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, এরা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের অনুসারী। জুমার নামাজের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুর রহিম স্বপ্ন, সিজান ও ইমরানসহ কয়েকজন লালন শাহ হলের ডাইনিংয়ে খেতে আসে। একই সময় ছাত্রলীগ কর্মী ও লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিদ, মোস্তফা ও ওয়ালিউল্লাহ ডাইনিংয়ে আসে। জাহিদ লাইন ক্রস করে খাবার নিতে গেলে ডাইনিং বয় নাজমুল জাহিদকে লাইনে দাঁড়াতে বলে। পরে খাবার শেষে জাহিদ ডাইনিং বয় নাজমুলকে ডেকে থাপ্পর দেয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত স্বপ্ন ও তার বন্ধুরা জাহিদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে জাহিদ তাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জাহিদ জিমনেসিয়ামের দিকে হাঁটতে গেলে স্বপ্ন ও তার বন্ধুরা জাহিদকে মারধর করেন। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যলয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও লালন শাহ হল ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মীরা লালন শাহ হল গেটে অবস্থান নেয়। পরে সেখানে লালন শাহ হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এসময় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এএটি/