‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ১৫ একর জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বর্তমানে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে।
৪১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) প্রকল্পটির প্রস্তাবনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যই একনেকের কার্যতালিকায় স্থান পেয়েছে প্রকল্পটি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১০তলা প্রশাসনিক ভবন ও ছয়তলা একাডেমিক ভবন ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য থাকছে আবাসিক সুবিধা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত হবে আধুনিক ডরমিটরি।
এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি ডরমিটরি ও দু’টি স্টাফ কোয়ার্টার, শিক্ষার্থীদের দু’টি ডরমিটরি, একটি অডিটোরিয়াম, উপাচার্যের বাংলো এবং রেজিস্ট্রারের আবাসিক ভবন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে আরবি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতায় মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ কম। এ বিবেচনায় আধুনিক বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হচ্ছে।
এর মাধ্যমে উচ্চস্তরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা হবে। ফলে এখানে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী বেকার থাকবেন না। নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনও হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান (শিক্ষা) খলিলুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশের সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় ঢাকার কাছের কেরানীগঞ্জে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়া হচ্ছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হবে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও, যেখানে শিক্ষার্থীদের আইটি শিক্ষা দেওয়া হবে। দেশে-বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, যেন কোনো শিক্ষার্থী বেকার না থাকেন’।
‘আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণও করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর