ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পূর্ণ প্যানেলে জিততে চায় নীল, ভোট প্রত্যাশা সাদার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
পূর্ণ প্যানেলে জিততে চায় নীল, ভোট প্রত্যাশা সাদার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ-২০১৮ নির্বাচনে গতবারের মতো পূর্ণ প্যানেলে জিততে চায় আওয়ামীপন্থী নীল দল। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম বন্ধে শিক্ষকদের কাছে ভোট প্রত্যাশা করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দল।

আগামী ১১ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ভবনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে।

এবার নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১০ জন।

শুধু অনারারি অধ্যাপকরা ভোট দিতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তালিকা অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন তারা ভোট দিতে পারবেন না। সাময়িক বরখাস্ত, এলপিআর, ইমেরিটাস অধ্যাপক, সুপার নিউমারি অধ্যাপকরাও ভোট দিতে পারবেন।

বিগত তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নীল দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আসছে। কার্যকরী পরিষদ-২০১৭ তে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ২০১৬ তে ১টি পদ ছাড়া সব, ২০১৫ তে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় লাভ করে নীল দল।

নির্বাচনে নীল দল থেকে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। নির্বাচনে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাবি শিক্ষকরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষকদের জয়যুক্ত করেছে। আমরা আশা করছি এবারের নির্বাচনেও সব পদে শিক্ষকরা নীল দলের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সামনেও আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে।  

সাদা দল থেকে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রচারণা শেষ করেছি। শিক্ষকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। প্রচারণার সময় একটা বিষয় তুলে ধরেছি। দীর্ঘদিন ধরে একতরফাভাবে প্রশাসন পরিচালিত হওয়ায় অনেক অনিয়ম ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকরা বিবেক দিয়ে চিন্তা করে সাদা প্যানেলে ভোট দেবে।

কার্যকরী পরিষদ ২০১৬ সালে ৮ প্যানেল ও ২০১৭ সালে ৯ প্যানেলে প্রার্থী দিয়ে নীল দল থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় বাম সমর্থিত গোলাপী দল। কিন্তু ২০১৮ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ফরম সংগ্রহ করলেও তা জমা দেয়নি দলটি।  

পরিসংখ্যান বলছে, গোলাপী দল হিসেবে ভোট রয়েছে প্রায় ১২৫ জন। ২ হাজার ভোটারের মধ্যে এটি তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না।

নির্বাচনে অংশ না নেওয়া নিয়ে গোলাপী দলের আহ্বায়ক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দল হিসেবে কাউকে সমর্থন দেব না। প্রার্থীর ব্যক্তিগত গুণাবলী দেখে আমরা ভোট দেব। যারা সাম্প্র্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাদের ভোট দেব।  

**অংশ নিচ্ছে না গোলাপী দল: নীল ও সাদা প্যানেল চূড়ান্ত

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এসকেবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।