মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে দীপকের হাতে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেন হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম।
দীপক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব-নওদাবাস গ্রামের মৃত দোলচাঁদ চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
জানা যায়, জন্মের তিন বছরের মাথায় বাবা হারা দীপক অভাবের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়া চালিয়ে যান। মায়ের ঝিয়ের কাজের আয় ও নিজের দিনমজুরি আয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন দীপক। দিনমজুরি আয়ে রাবিসহ বেশ কিছু সেরা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হন তিনি। কিন্তু টাকার অভাবে রাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার। ৩ ডিসেম্বর অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়িন্টিফোর.কমে ‘টাকার অভাবে রাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত দীপকের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফের নির্দেশে ইউএনও আমিনুল ইসলাম দীপকের খোঁজ-খবর নেন এবং তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে তাকে ডেকে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু।
এর আগে নিজ খরচে দীপককে ভর্তির যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।
সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দীপকের মা কিরন বালা বাংলানিউজকে বলেন, যারা আমাদের দীপককে সাহায্য করেছেন ভগবান তাদের ভালো করবেন।
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলানিউজের প্রতিবেদন দেখে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দিনমজুর দীপকের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি ও সমাজের সামর্থবান কয়েকজন। আগামী দিনেও এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে বঞ্চিতদের সেবাদানের সুযোগ তৈরি করতে বাংলানিউজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
** টাকার অভাবে রাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত দিপকের
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
আরবি/