বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রংপুর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অভিযোগকারী শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগও করেছেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিয়ার রহমান আমার সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন আছে জানিয়ে কল করে ডরমিটরির নিচে আসতে বলেন। আমি নিচে নেমে তার সঙ্গে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক নুরুজ্জামান খান, অবিনাশ চন্দ্র এবং পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক বিপুলকে দেখতে পাই। এর আগে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সংগঠন নীল দলের সভাপতি হিসেবে নীল দল থেকে কয়েকজন শিক্ষকের পদত্যাগ বিষয়ে বিবৃতি দিই। আমি কেন এমন বিবৃতি দিয়েছি তারা সেটা জানতে চান। আমি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমাকে ঘিরে ধরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এসময় তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি আত্মরক্ষার্থে চিৎকার দিলে ডরমিটরিতে বসবাসরত অন্য শিক্ষকরা নেমে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রাণনাশের হুমকি দেইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহিব্বুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
গত ১১ ডিসেম্বর ‘বেরোবি নীল দল থেকে শিক্ষকের গণ পদত্যাগের গুঞ্জন’ শিরোনামে একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। শিক্ষকদের পদত্যাগের কারণ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে নীল দলের সভাপতি হিসেবে ড. শফিকুর রহমান বলেন, যে কেউ দল থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। নীল দল বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সংগঠন। কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে না চাইলে কিংবা অন্য কোনো আদর্শ ধারণ করলে কিংবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরোধিতা করলে এই দল থেকে পদত্যাগ করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
আরআর