বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
স্মৃতি চারণ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী এস এম এ রাশীদুল হাসানের মেয়ে রোকাইয়া হাসিনা নীলি, জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হান, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের সন্তান সুমন জাহিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পথ প্রদর্শক ছিলেন। আমাদের দাবি যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শাস্তির রায় ঘোষিত হয়েছে তাদের দেশে এনে শাস্তির রায় কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে আরও যারা ৩০ লাখ মানুষ হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের বিচার অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে হবে’।
রোকাইয়া হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে আমরা ভুলতে বসেছিলাম বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের কথা, শহীদদের জীবন দেওয়ার কথা। একটা সময় ছিলো শহীদের সন্তান পরিচয় দিতে আমার ভয় লাগতো। কারণ পরিচয় দিলে বোধ হয় আমার ক্ষতি হবে। সেই ইতিহাস আমরা আবার পুনরুদ্ধার করেছি। এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় তাই গর্ব করে বলতে পারি আমি শহীদের সন্তান’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এসকেবি/জিপি