ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শতভাগ পাসে মনিপুর স্কুলে আনন্দের ঢেউ

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
শতভাগ পাসে মনিপুর স্কুলে আনন্দের ঢেউ মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: কারও জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। কারও কৈশোরের পাবলিক পরীক্ষা। এ দুই পরীক্ষার ফলাফলে সেরা সাফল্যে বয়ে এনেছে রাজধানীর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সাফল্যে আনন্দের ঢেউ বইছে স্কুলজুড়ে। শিক্ষার্থীরা আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে সতীর্থ-বন্ধু, অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এই ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনিপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে।

বাদ্যযন্ত্র নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে তারা জমিয়ে তোলে আনন্দ-নৃত্য।

ফলাফলে দেখা গেছে, মনিপুর স্কুল পিইসি ও জেএসসিতে শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। সব শাখা মিলিয়ে তাদের জেএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ২৭৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী। পিইসিতে মোট ৩ হাজার ৫৮০ শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৬ ভাগ জন।

ফল প্রকাশ উপলক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের অাগেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল শাখায় অাসতে থাকে। যদিও অনেক অপেক্ষার পর কেউ কেউ ইন্টারনেট ও মোবাইলের মাধ্যমে ফলাফল জেনে যায়। তবে স্কুলে ফল পাওয়ার জন্য অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যায় বিলম্বের কারণে।  মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।  ছবি: সুমন শেখদুপুর অাড়াইটার পর স্কুলের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল সাঁটানোর পর উচ্ছ্বাস-উল্লাসে মেতে ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে উল্লাসে মাতেন শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।  

স্কুলের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পিএসসি-জেএসসি দু’ পরীক্ষায়ই আমাদের স্কুলে শতভাগ পাসের হার। রেজাল্ট ভালো হয়েছে। আমার স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক, গর্ভনিং বডি ও শিক্ষার্থীরা সবাই ভালো। শিক্ষকরা যোগ্য ও দক্ষ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফলাফল ভালো হয়েছে। অামি অনেক খুশি।

কোচিং-বিরোধী এ শিক্ষক বলেন, অামি কোচিং সেন্টার-বিরোধী। সাফল্য পেতে হলে হলে নন-প্রফেশনাল শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করতে হবে। অামার স্কুলে কোনো কোচিং করানো হয় না, পরীক্ষার সময় বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য সামান্য ফি নেওয়া হয়।  

জেএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত অদ্বেয় রায় জয় বলে, অনেক টেনশনের পর রেজাল্ট পেলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। বাবা-মা ও শিক্ষকদের কষ্ট সফল হয়েছে। অামার প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছে। অামার জন্য দোয়া করবেন।

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার গর্বিত বাবা অমৃত রায় বলেন, খুবই ভালো লাগছে জেএসসিতে আমার ছেলে গোল্ডেন এ প্লাস ও পিএসসিতে মেয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। দু’জনেই মেধাবী।  

প্রথম শ্রেণি থেকে সব পরীক্ষায় ফার্স্ট।  পিএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে সানিভা সোহা। সে বাংলানিউজকে বলে, আজকে আমি অনেক খুশি। সামনের যত পরীক্ষা অাসবে, সব পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবো। ভবিষ্যতে ডাক্তার হবো, গরিব মানুষের সেবা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এমসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।