ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শূন্যভাগ পাস প্রতিষ্ঠান থাকার দরকার নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
শূন্যভাগ পাস প্রতিষ্ঠান থাকার দরকার নেই

ঢাকা: জেএসসি-জেডিসিতে শূন্যভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠান থাকার কোনো কারণ নাই।
 

ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শতভাগ পাস না করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। ফলাফলের প্রভাব তো পড়েছে।

যে কারণে আমাদের ৯ শতাংশের বেশি ফেল করেছে। এগুলো সঠিক মূল্যায়ন করে জানাবো।
 
শূন্যপাস স্কুলগুলো কী রাখার দরকার আছে? জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ধরনের স্কুল অনেকগুলো গড়েছে, যেগুলোতে লেখাপড়া ভালো হয় না বা পাস করলেও একজন-দুইজন পাস করে, আমরা এগুলো রাখতে চাই না। বরং ওই স্কুলগুলোকে কোথাও মার্জ (একীভূত) করে হোক বা ওই স্কুলের ছাত্রদের অন্য ব্যবস্থা করে হোক, যেন ভালো লেখাপড়া হয় সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
 
সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেন, চাইলেই আমরা পারি না। সেজন্য আইন আছে। আমাদের মন্ত্রিসভা পর্যন্ত যেতে হয়। আমরা এবার টার্গেট নিয়েছি আগামী সেশনের আগেই যেন মন্ত্রিসভা পর্যন্ত যেতে পারি। তখনই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো।
 
‘কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, আমাদের যেটুকু ক্ষমতা আছে সে অনুসারে এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এসব প্রতিষ্ঠান থাকার কোনো কারণ নেই, অর্থহীন করে রেখে লাভ নেই। জনগণের টাকা খরচ হয়, অথবা খরচ বেশি না করতে পারলেও দাবি হয় যে জনগণের টাকা যায়। যারা একেবারেই পাস করতে পারে না, বোঝা যায় যে শিক্ষার মানটা কত নিচে গেছে। আমরা পৃথক মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা নেবো’।
 
গতবছর জেএসসি-জেডিসিতে শূন্যভাগ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২৮টি, এবছর বেড়ে হয়েছে ৫৯টি। এবার ফলাফলে সব থেকে খারাপ করেছে কুমিল্লা বোর্ড।
 
এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, কুমিল্লা বোর্ড নিয়ে আরেকটু গভীরে যেতে হচ্ছে। ভাসা কথা এখন আর বলতে চাই না। সেগুলোতে এক ধরনের ভুল ধারণা হয়, আমরাও মোটামুটি দায়সারা করে ফেলি। আমাদের গভীরে গিয়ে বের করতে হবে।   
 
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
আরএম/আইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।