শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতেও রাজধানীর ভাটারায় কলেজটির ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে সেখানে বিক্ষোভ চলছে তাদের।
শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, বিক্ষোভ শুরু করলেও কর্তৃপক্ষের সাড়া না পাওয়ায় দুপুরে কলেজের ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেলের দিকে শিক্ষকদের বের হতে দেওয়া হলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভেতরে অবরুদ্ধ রয়েছেন।
গত ২১ ডিসেম্বর একই দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেও দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সালমান নামে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ৫ বছরের কোর্স আমরা ৭ বছরেও শেষ করতে পারি না। মোখিক পরীক্ষায় একবার পাশ করি তো, লিখিত পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়, আরেকবার লিখিত পাশ তো মোখিক পরীক্ষায় ফেল। ফেল করলেই ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা সঙ্গে বাড়তি আরও এক বছরের টাকা আদায় করা হয়। আবার এসব নিয়ে কথা বললেই ফেল করানোর হুমকি আসে। আমরা এই অবস্থা থেকে স্থায়ী পরিত্রাণ চাই।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শিক্ষার্থী প্রিতম বলেন, এর আগে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দাবি মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরোলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া না দেওয়ায় বুধবার থেকে কলেজ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরা বিক্ষোভ শুরু করি। দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অব্যাহতভাবে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
গত ১৯ ডিসেম্বর কলেজের টার্ম-২ পরীক্ষার চলাকালীন পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে হোস্টেলের নিজ কক্ষে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নেপালি শিক্ষার্থী বিনিশা। খবর পেয়ে ওই দিনই দুপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় বিনিশার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে সময় শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষায় খারাপ কিংবা যে কোনো ভুলের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করেন। এ আতঙ্কের কারণেই বিনিশা আত্মহত্যা করেছেন। তারা বিনিশার আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনসহ নানা অনিয়ম বন্ধের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
পিএম/এইচএ