বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানান বিশিষ্টজনেরা।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব নয়।
এরপর শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শিক্ষক বা সমাজের জন্য সুভকর নয়। আমি শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানাই, শিক্ষকদের দাবি পুনরায় বিবেচনা করুন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. তানজিম উদ্দিন, মোসাইদা সুলতানা ও ফাহমিদুল হক শিক্ষকদের পাশে বসে তাদের কর্মসূচিতে সংহতি জানান।
এ সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এমপিওভুক্ত করার। সেই রাষ্ট্রিয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করার দায় দায়িত্ব এখন কে নেবে? সরকারের টাকা বলে কিছু নেই। জনগণের টাকা সরকার যথাযথভাবে খরচ করে। শিক্ষামন্ত্রী টাকা নেই বলেন কীভাবে?
সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, গাড়ি-বাড়ি ও বিদেশে যাওয়ার পেছনে কত টাকা খরচ হয়? শুধু গাড়ি পরিচালনার পেছনে যে টাকা খরচ হয় তার অর্ধেক টাকা শিক্ষকদের অধিকার বাস্তবায়নে খরচ হয় না।
সরকারের বিভিন্ন খাতের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, অর্থপাচার হলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয় তুচ্ছ ঘটনা। শিক্ষকরা টাকা চাইলে বলেন টাকা নাই। অপমানজনক স্থানে শিক্ষকদের দিনের পর দিন রাখার জন্য সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত।
এমপিওভুক্তির দাবিতে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির পরে ৩১ ডিসেম্বর আমরণ অনশন কর্মসূচিতে বসেন নন-এমপিও শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করতে শিক্ষকদের পাশে এসে দাঁড়ালেও প্রথমবারের মতো মটাজোটের সরিক দলের নেতারা এদিন শিক্ষকদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এমএসি/এমজেএফ