ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্মৃতিচারণে ঢাবি সোসিওলজি বিভাগের প্রাণের মেলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
স্মৃতিচারণে ঢাবি সোসিওলজি বিভাগের প্রাণের মেলা ঢাবি সোসিওলজি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী/ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন মো. শাহাজাহান। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে। কলা ভবন, মধুর ক্যান্টিন টিএসসিসহ সবখানে রয়েছে অজস্র স্মৃতি। শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি করেছেন সরকারি সংস্থায়।

ব্যস্ততার কারণে পুরনো দিনের বন্ধুদের সঙ্গে তেমন দেখা হত না। এখন অবসরে যাওয়া শাহাজাহানের স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে সেই সোনালী সময়গুলো।



শনিবার (০৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নিজ বিভাগের পুনর্মিলনীতে এসে খুঁজে পেয়েছেন ব্যাচের তিন বন্ধুদের। টিএসসির মাঠে তৈরিকৃত আনন্দমুখর আড্ডা ও স্মৃতিচারণ মঞ্চে দিয়েছেন প্রাণখুলে আড্ডা।  

এসময় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস জীবনের অনেক স্মৃতিকে এখন মিস করি। আমার মনে হচ্ছে আজকে সেই ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। তবে সব বন্ধুদের একসঙ্গে না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে তার।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি সোসিওলজি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী প্রাণের মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর টিএসসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি একে আজাদ চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক কেএএম সাদ উদ্দীন, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিম, বিভাগের প্রবীণ ছাত্র আসফ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণের মেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ফারুখ হোসাইন।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস আমাদের জন্মের মাস। এ মাসেই আমাদের প্রাণের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ভালোবাসার জায়গা। আমরা চাই সবাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে পাশে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহায়তা নিয়ে সবার এগিয়ে আসা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল অক্সফোর্ডের আদলে। কিন্তু গবেষণা কর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে হিসেবে সহায়তা করা হয় না। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে আমাদের এ দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। গবেষণার কাজ চালু করলে শিক্ষার্থীরা লাভবান হবে। এটি এসডিজি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমরা আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে স্মৃতি রোমন্থন করব। পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি একে আজাদ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৯৬ লাখ টাকার বৃত্তি দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া টিএসসির সংস্কারেও অ্যাসোসিয়েশান ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, মিলনমেলায় আমার সতীর্থ ছাড়াও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা কোথায় আছে সেটি জানতে পারব। আজকে আমরা সবাই প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বর্তমান পরিচয় উহ্য থাকুক। তাহলে আমরা মন খুলে কথা বলতে পারব।

অনুষ্ঠানে সদস্য নির্দেশিকা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।