নির্বাচনে শিক্ষকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ সমর্থিত প্রার্থীরা হলুদ প্যানেল এবং জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রুপ সমর্থিত প্রার্থীরা সাদা প্যানেলে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতোমধ্যে উভয় প্যানেল তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি বেশ জমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় মুখর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জ, প্রশাসনিক-একাডেমিক ভবন, বিভাগীয় কার্যালয়সহ পুরো ক্যাম্পাস। কখনো দল বেঁধে, কখনো ব্যক্তিগতভাবে ভবন থেকে ভবনে, দফতর থেকে দফতরে নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে নানা ধরনের অঙ্গীকার নিয়ে শিক্ষকদের কাছে হাজির হচ্ছেন প্রার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্র জানিয়েছে, আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার ১৫০ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে পাঁটটি সিন্ডিকেট সদস্য পদ, নয়টি ডিন, ৩৩ জন সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি, অর্থনৈতিক কমিটিতে একটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একটি, শিক্ষা পরিষদ ছয়টি এবং শিক্ষক সমিতির ১৫টি পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারী।
নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হলুদ প্যানেল সবক’টি পদে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দল সিন্ডিকেটের প্রভাষক পদ, আইন অনুষদের ডিন ও শিক্ষা পরিষদের দুই পদে প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে ওই পদগুলোতে হলুদ প্যানেলের চারজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
হলুদ প্যানেল থেকে আইন অনুষদের ডিন পদে অধ্যাপক এম আহসান কবির, সিন্ডিকেটের প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের মাসিদুল হক এবং শিক্ষা পরিষদের ‘সহযোগী অধ্যাপক ব্যতীত’-ক্যাটাগরিতে তিনটি পদের মধ্যে দু’জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
আরবি/